শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২২ পূর্বাহ্ন

গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একসাথে চলে : রাষ্ট্রপতি

গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একসাথে চলে : রাষ্ট্রপতি

স্বদেশ ডেস্ক:

রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন জনগণের কল্যাণে সরকারের গ্রহণ করা কর্মসূচি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর জন্য সরকারি কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই সরকারি কর্মকর্তা হওয়ায় দেশের নিয়মকানুন, প্রবিধান ও সংবিধান মেনে দায়িত্ব পালন করবেন।’

বুধবার ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কোর্সের (ডিএসসিএসসি) গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এই অনুষ্ঠানে ২৪টি দেশের ৪৯ জনসহ মোট ২৫৭ জন কর্মকর্তা গ্র্যাজুয়েট হন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সবসময় মনে রাখবেন, গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একসাথে চলে।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার তাদের সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা শক্তিশালী সামরিক বাহিনী গঠনকে অগ্রাধিকার দেন এবং ১৯৭৪ সালে প্রতিরক্ষা নীতি প্রণয়ন করেন। এর সাথে সঙ্গতি রেখে সরকার সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ প্রণয়ন করে।

মো: সাহাবুদ্দিন বলেন, সরকারের যথাযথ কাজ হলো জনগণের পক্ষে ভালো কাজকে সহজ করা এবং মন্দ কাজকে কঠিন করা।

জনগণের জীবনমান উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধু সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিয়েছিলেন।

তিনি আরো বলেন, ‘স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর গতিশীল নেতৃত্বে অর্থনীতি ও উন্নয়ন প্রক্রিয়ার সব সূচক ইতিবাচকভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল।’

আইনের শাসন, ব্যক্তিগত স্বাধীনতার নিশ্চয়তা এবং গণতান্ত্রিক অধিকার, মূল্যবোধ ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল স্থিতিশীলতার ভিত্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতা ছাড়া অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ছাড়া স্বাধীনতা জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে পারে না।

তিনি আরো বলেন, ‘আইনের শাসনের অনুপস্থিতিতে সমাজ সঞ্চয়, অধ্যবসায়, সৃজনশীলতা ও উদ্যোক্তার ক্ষেত্রে ব্যক্তির ত্যাগের প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে পারে না।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জগুলো গতিশীল ও বহুমুখী এবং প্রচলিত হুমকি থেকে শুরু করে অপ্রচলিত হুমকি পর্যন্ত। কঠোর প্রশিক্ষণ আপনাদের নানা জটিল চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও জ্ঞানার্জনের সুযোগ করে দিয়েছে।’

ডিএসসিএসসিকে বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের ক্ষুদ্ররূপ; বিভিন্ন পটভূমি, সংস্কৃতি ও দৃষ্টিকোণ থেকে সামরিক নেতাদের একত্রিত করার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে গড়ে ওঠা বন্ধন সদিচ্ছা বাড়িয়ে তুলবে।।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল মো: ফয়জুর রহমান।

সূত্র : ইউএনবি

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877